স্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া যা জানলে বিজনেস সহজ হয়ে উঠবে

১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া যা জানলে আপনি লাইফে সফলস্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া? বাংলাদেশের শিক্ষার হার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। ফলে দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এখনো বেকার রয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে মোট বেকারত্বের হার ২ শতাংশ বেড়ে মোট ১৭ লাখ ৪০ হাজারে পৌঁছেছে।

স্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া এই বেকার জনসংখ্যার মধ্যে অনেকেই ব্যবসায় আগ্রহী হলেও পর্যাপ্ত ক্যাপিটালের অভাবে নিজে থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারে না। যদিও ব্যবসা শুরু করতে সব সময় যে বড় ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন এমন না। বর্তমান সময়ের স্বল্প পুঁজি নিয়েও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের এমনই পাঁচটি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানাবো।

আরো জানুন:- 22 ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত today ২০২৪

স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে শহরের যেকোনো জনবহুল এলাকা থেকে শুরু করে মহপিল শহরের জুস বার, কফিস, এবং ফুড কার্ড, বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে। এই ধরনের ব্যাবসা স্থাপন করতে খুব বেশি পুজি কিংবা লোকবলের দরকার হয় না। ফিজিক্যাল শপ ছাড়াও একটি ভ্যান কিনবা একটি ছোট প্লেজ ভাড়া নিয়ে স্বল্প ইনভেস্টমেন্টে প্রয়োজনের সরঞ্জামাদি কিনে সহজে ব্যবসা শুরু করা যায়।

এছাড়া জুস বার কফি শপ কিংবা ফুড কার্ডের মত বিজনেস পরিচালনার ক্ষেত্রে মেটেরিয়াল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইংরেডিয়ান খুব সহজেই শচীন করা যায়। যেমন জুসের ক্ষেত্রে কাস্টমাররা মৌসুমী ফলগুলো বেশি পছন্দ করে যা মৌসুম চলাকালীন বাজারে এভেলেবেল থাকে। ফুড কার্ডের ক্ষেত্রে বার্গার চাওমিন মোমোর মত আইটেম গুলো কাস্টমারের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

এছাড়া কফি কার্ড কিংবা ফুড কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় ইংরেডিয়ান গুলো এখন দেশের যেকোনো প্রান্তে থেকে সোর্সিং করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এবং অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কিছু ইংরেডিয়ান নিজে থেকে তৈরি করা যায়। এ ধরনের বিজনেসের জন্য যে সকল ইংরেডিয়ান প্রয়োজন পড়ে সেগুলোর দামও তেমন বেশি হয় না। যার কারণে জুসবার কফি শপ বা ফুড কার্ড এর মত বিজনেস থেকে বেশি পরিমানে মার্জিন রেখে লাভ ও করা সম্ভব।

তাছাড়া বর্তমানে ফুডপান্ডা পাঠাও ফুডের মতো বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি এগ্রিগেটররা রেসটুরেন্টের পাশাপাশি ফুট কার্ড ও স্ট্রিট ফুডগুলোকেও প্লাটফর্মগুলোতে অনবর্ড হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। স্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া যার কারণে এক্সিস্টিং ফিজিক্যাল স্টারপের পাশাপাশি অনলাইন ফুড অ্যাগ্রাডিকেটের উদ্দেশে যুক্ত হয়ে হোম ডেলিভারি প্রফাইড করাও এক্সট্রা রিভিনেস টিম হতে পারে।

চাকুরিজীবী এবং ব্যাচেলরদের জন্য অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে দুপুরের লাঞ্চ আপনি যদি ফুড সেক্টরে বিজনেস করার আগ্রহ থাকে কিন্তু পর্যাপ্ত ক্যাপ্টেন এর অভাবে বিজনেস স্টার্ট করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে সর্ব পুঁজির মধ্যে কেটোরিং সার্ভিস ও ক্লাউঠকিচির ব্যবসা একটি লাভজনক অপশন হতে পারে। যে কেউ চাইলেই নিজের বাসা থেকে কিংবা ছোট্ট একটি স্পেস ভাড়া নিয়ে খুব সহজে ক্যাটারিং বা ক্লাব কিচেন বিজনেস শুরু করতে পারে।

বাংলাদেশে গত ১ দশকে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার হয়েছে এবং প্রতিনিয়তই নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করেছে। যার কারণে ক্যাটারিং সার্ভিসের চাহিদাও প্রতিনিয়তই বেড়ে চলছে। ফলস্বতিতে অফিস আদালত গ্রূপের সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসংধ্য খাবার রিসোনাবল প্রাইসের ডেলিভারি দেওয়া একটি সলিড ইনকাম সোর্স হতে পারে।

স্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া অফিসে গেলেও ছোটখাটো পার্টি কিংবা সোশ্যাল গ্যাদারিংও ক্যাটারিং সার্ভিস দেয়া যেতে পারে। এছাড়া এক্সকিউজিং কিচেনের একটা অংশকে কিছুটা মডিফাই করে সেখান থেকে ক্লাউড কিচেন রান করা সম্ভব। এতে করে অফলাইনে ক্যাটারিং সার্ভিস দেয়ার পাশাপাশি। 

ফুডপান্ডা পাঠাও ফুডের মতো ফুড ডেলিভারি সার্ভিস প্রভাইড এর মাধ্যমেই নিজে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করা সম্ভব। ফলশ্রুতিতে যেমন রেডমিস্ট্রিম ডাইভারসিফাই করা যাবে ঠিক তেমনি রেস্টুরেন্টের মতো ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন না হওয়াতে এবং বাড়তি ওভার হেডকোয়ার্ক না থাকাতে রেস্টুরেন্টের চেয়েও বেশি পরিমাণে প্রফিট মার্জেন রাখা সম্ভব।

আরো জানুন:- 18 ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত today ২০২৪

এছাড়া খাবারে কোয়ালিটি স্বাদ ও ইউনিকনেস বজায় রাখতে পারলে সেখান থেকে একটি রেস্টুরেন্ট ব্র্যান্ড বা চেইন ও ক্রিয়েট করা সম্ভব। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জন্মদিন অ্যানিভার্সারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অকেশনে ফুল ও গিফট দেওয়ার প্রচলন বেড়েছে। এছাড়া বসন্ত বরণ ভ্যালেন্টাইন্স ডেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে ঘিরে দেশে ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সুসাইটির মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে। যার মার্কেট ভ্যালু প্রায় ষোলোশো কোটি টাকা যা কারণে স্বল্প বুজিতে ফ্লাওয়ার এন্ড গিফট শপ বেশ লাভজনক একটা ব্যবসা হতে পারে। যেহেতু দেশে প্রচুর পরিমানে ফুলের চাষ হচ্ছে তাই খুব সহজেই চাষীদের থেকে পাইকারি দ্বারে ফুল সংগ্রহ করে শহরের যে কোন এলাকাতেই ছোট পরিসরে ফ্লাওয়ার ও গিফট শপের ব্যবসা করা যেতে পারে।

এক্ষেত্রে দেশীয় হ্যান্ডিক্রাফ থেকে শুরু করে বিভিন্ন চাইনিজমেন্ট গিফট আইটেম সোশ্যাল করাটাও বেশ সহজ। গিফট আইটেম সোশ্যাল করার ক্ষেত্রে চায়না থেকে কোনরকম এলসি বা পেপার ওয়ার্ল্ড ছাড়ে প্লাটফর্মে এম্পোর্ট করার জন্য অলরেডি বেশ কিছু সার্ভিস গড়ে উঠেছে। দোকানদার এবং ডেকোরেশনে মিনিমাম ইনভেস্টমেন্ট করে ফ্লাওয়ার এবং গিফট সব স্থাপন করা সম্ভব।

ফিজিক্যাল সাপের পাশাপাশি ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন থেকে অর্ডার নিয়ে বিভিন্ন ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করেও এই ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। স্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া এতে করে ব্যবসায়ী রেভিনিস্ট্রিম ড্রাইভারসিফাই করার পাশাপাশি রেভিনিউ বাড়ানো সম্ভব হবে।

 বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে ই কমার্স এবং এপকমার্স ব্যতীত ব্যবসায়ীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রসার বেড়েছে। ইক্যাবের তথ্য সূত্রে দেশে ২.৫ হাজারটিরও বেশি ইকমার্স এবং ফেসবুক ভিত্তিক প্রায় ২.৫ লাখ একটিভ বিজনেস রয়েছে। এসব বিজনেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে প্যাকেজিং। স্বল্প পুজিতে ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজিং ম্যাটারিয়াল সাপ্লাই দেওয়া বেশ লাভজনক হতে পারে।

এক্ষেত্রে পণ্য স্বল্প খরচে কয়েকজন কর্মী হায়ার করেই তৈরি করা যায় এবং এ ধরনের প্রোডাক্টটির জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাটারেল খুব সহজে সোর্সিং করা যায়। বাংলাদেশের ট্রাডিশনের মাধ্যম থেকে প্রিন্টিং ও প্যাকেজিংয়ের বিভিন্ন ম্যাটারেস সোর্স করা গেলেও অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলো কাস্টমারস করা যায় না।

আবার বড় প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানগুলো ছোট আকারের অর্ডারও নিতে চায় না। এক্ষেত্রে কাস্টমেস প্রিন্টিং সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে বিজনেসের বিভিন্ন অ্যাপ কমার্স উদ্যোক্তাদের অ্যাডটক করা সম্ভব। আবার ছোট বিজনেস গুলো থেকে বেশ কয়েকটি অর্ডার একরিগেট করে তা বড় কোন প্রিন্টিং বিজনেস থেকে স্বল্পমূল্যে করিয়ে নিতে পারেন। 

আরো জানুন:- 21 ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত today ২০২৪

এভাবে বিজনেস করতে ফিজিক্যাল লোকেশন ছাড়াই শুধুমাত্র ফেসবুক পেজের মাধ্যমে একটি সলিড বিজনেস রান করা সম্ভব। স্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া বর্তমান সময় মানুষের মধ্যে হেলথ কনস্টেন্স বাড়ায় খাঁটি এবং স্বাস্থ্যসমূহ খাবার আইটেমের চাহিদা বেড়েছে। স্বাস্থ্যসমতো খাবার তৈরির ক্ষেত্রে খাবারের ব্যবহৃত বিভিন্ন ইনগ্রেডিয়েন্টসের প্রতি ও মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। 

যার কারণে অনেকে প্যাকেট জাতির স্পাইসের বদলে স্বাস্থ্যসমূহ উপায়ে প্রক্রিয়াযত করা খাঁটি স্পাইস তেল ও রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ইনগ্রেডিয়েন্টস কেনার প্রতি আগ্রহ হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রতি আগ্রহ থেকে মানুষ তাদের নিয়মিত খাদ্যভাসে বিভিন্ন প্রকার নার্স এবং ড্রাইভ ফুড আইটেম রাখছে।

যার কারণে খাঁটি ও অর্গানিক স্পাইস এবং ড্রাইভার্সের একটি মার্কেট তৈরি হয়েছে যা প্রতিনিয়তই বড় হচ্ছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে চাষীদের থেকে অল্প দামে কিনে স্বাস্থ্যসমতো প্রক্রিয়ার প্রসেস করেই হলুদ মরিচ থেকে শুরু করে বেশ কয়েক ধরনের মসলা ও তেল কাস্টমারদের সারপ্রাইজ দেওয়া সম্ভব।

এছাড়া ঢাকার নিউমার্কেট কাপ্তানবাজার সোয়াইঘাট মতিঝিল ও মিরপুরে বিভিন্ন পাইকারি থেকে খুব সহজে বিভিন্ন ধরনের মসলা ড্রাইভ্রুজ নার্স সিক্স সোর্সিং করে তা সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেজিং করার মাধ্যমে এই বিজনেস করা যায়।

ফিজিক্যাল সব ছাড়া অনলাইন পেইজ ও ইকমার্স এর মাধ্যমে সারাদেশে ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে এই বিজনেস থেকে বড় ধরনের লাভ করার পাশাপাশি কোয়ালিটি মেনশন করতে পারলে অজ্ঞানিক ফুটের ব্র্যান্ডও দাঁড় করানো সম্ভব। 

আশা করি স্বল্প পুঁজির দারুন ৫ টি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এবং নিত্য নতুন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ