১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া যা জানলে আপনি লাইফে সফল

ইউরোপে কি কি কাজের চাহিদা বেশি১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানার আগে আপনাকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে তা হল কোন কাজকেই কখনো ছোট করে দেখবেন না আর এই কথা যারা মানতে পারবেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি আপনি আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি পড়েন তাহলে এখান থেকে আপনি ১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।

কোন ব্যক্তি যদি ব্যবসা করার কথা চিন্তা করে তখন তার মাথায় একটা প্রশ্ন সব সময় ঘুরপাক খায় তা হল মূলধন আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভাবেন ব্যবসা করতে প্রচুর মূলধন প্রয়োজন পরে প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে এই ভাবনাটি মোটেও সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয় কারণ অল্প মূলধন দিয়েও ব্যবসা করা যায় আজ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

ভূমিকা

দশ হাজার টাকা দিয়েও ব্যবসা করা সম্ভব এবং এমন সব ব্যবসা নিয়েই থাকতে আজকের আর্টিকেলটিহয়তো এই পোস্টে এ থাকা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে থেকে গুটি কয়েক আইডিয়া আপনার পছন্দ হয়ে যেতে পারে। আর এই আইডিয়া থেকে আপনিও শুরু করতে পারেন আপনার নিজস্ব ব্যবসা । তাই ১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়ার সম্পর্কে জানতে সময় নিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

পতিদিনের ন্যায় মূল আলোচনা ফিরে জাবার আগে আজকের টপিকের উপর ভিত্তি করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলে নিতে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ব্যবসা শুরু করা যাবে তবে সময়ের সাথে সাথে মূলধনের পরিমাণ ও বৃদ্ধি করতে হবে তার পাশাপাশি আপনার ব্যবসা করার প্রবল মনোভাব ও অন্যদের থেকে ইউনিক ভাবে উপস্থাপন করার মত সক্ষমতা থাকতে হবে।

একটা ব্যবসা পরিচালনা করা খুব সহজ কাজ নয় ধৈর্য ও মানসিক শ্রম দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয় যেহেতু আপনি ব্যবসা করার জন্য এই আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন সেক্ষেত্রে ধরেই নিচ্ছি আপনি যথেষ্ট উদ্যোগি মনোভাব নিয়েই ব্যবসা পরিচালনার করার পথে নেমেছেন। এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরবো এমন সব ব্যবসার আইডিয়া যা ১০ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করা যাবে যা আপনার ব্যবসা করার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক আজকের টপিকের মূল আলোচনা - ১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া।

১০ হাজার টাকায় সেরা ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

• হস্তশিল্পের ব্যবসা: বাংলাদেশের হস্তশিল্পের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগে ছোট পরিসরে হাতে তৈরি পণ্যের ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। নকশিকাঁথা, মাটির পাত্র, বাঁশের তৈরি আসবাবপত্রসহ নানাবিধ পণ্য বিক্রি করা সম্ভব।
• অনলাইন কাপড় বিক্রির ব্যবসাঃ- বর্তমানে অনলাইনে কাপড় বিক্রি করা খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসার আইডিয়া। আপনি স্থানীয় কাপড়ের দোকান থেকে কিনে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় ছোট পরিসরে শুরু করা সম্ভব।
• কসমেটিক্সের দোকানঃ- ছোট পরিসরে কসমেটিক্সের ব্যবসা একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। ১০ হাজার টাকায় জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের পণ্য এনে বাজারে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
• মোবাইল এক্সেসরিজের ব্যবসাঃ- মোবাইল এক্সেসরিজের চাহিদা প্রচুর। ১০ হাজার টাকায় মোবাইল কভার, চার্জার, হেডফোন ইত্যাদি পণ্য কিনে অনলাইন বা সরাসরি বিক্রি করা যেতে পারে।
• মশলার ব্যবসাঃ- বাসায় বানানো মশলা বাজারে বিক্রি করা খুব লাভজনক হতে পারে। ১০ হাজার টাকায় বিভিন্ন মশলা তৈরি করে অনলাইন বা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা সম্ভব।
• ফাস্টফুডের দোকানঃ- ফাস্টফুডের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ১০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট একটি ফাস্টফুডের দোকান শুরু করা সম্ভব, যেখানে স্যান্ডউইচ, বার্গার, সমুচা ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে।
• অনলাইন টিউশনের ব্যবসাঃ- আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে ১০ হাজার টাকায় অনলাইন টিউশন শুরু করতে পারেন। এটি একটি কম খরচে লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।
• মোবাইল রিচার্জের দোকানঃ- মোবাইল রিচার্জের জন্য খুব বেশি খরচ লাগে না। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগে একটি ছোট রিচার্জের দোকান শুরু করা যেতে পারে।
• হোম ডেলিভারি সার্ভিসঃ- বর্তমানে হোম ডেলিভারি সার্ভিসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগে ছোট পরিসরে ডেলিভারি সার্ভিস শুরু করতে পারেন।
• অনলাইন কুরিয়ার সার্ভিসঃ- কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসায় আজকাল বড় সুযোগ রয়েছে। ১০ হাজার টাকায় ছোট আকারে শুরু করে আপনি গ্রাহকদের কাছে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করতে পারেন।

১০ হাজার টাকায় অফলাইনে ব্যবসার আইডিয়া

• সবজি বিক্রির ব্যবসাঃ- সবজি চাষ বা কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে সবজি কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা খুবই লাভজনক হতে পারে। ১০ হাজার টাকায় এ ব্যবসা সহজেই শুরু করা যায়।
• রাস্তার পাশে ফাস্টফুডের দোকানঃ- ফাস্টফুডের দোকান শুরু করা বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যবসা। ১০ হাজার টাকায় স্যান্ডউইচ, পুরি, বার্গার, চটপটি, ফুচকা ইত্যাদি খাবার বিক্রি শুরু করা সম্ভব।
• চায়ের স্টলঃ- কম খরচে চায়ের স্টল একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হতে পারে। চা, বিস্কুট, স্ন্যাকস ইত্যাদি বিক্রি করে স্থানীয় এলাকায় বা রাস্তায় ছোট আকারের স্টল শুরু করা যায়।
• জুতার দোকানঃ- ১০ হাজার টাকায় ছোট পরিসরে লোকাল বাজার থেকে জুতা কিনে স্থানীয়ভাবে বিক্রি শুরু করা যেতে পারে। এই ব্যবসায় দ্রুত মুনাফা অর্জন সম্ভব।
• কৃষিপণ্য বিক্রিঃ- ফল, ধান, চাল, ডাল ইত্যাদি কৃষিপণ্য স্থানীয় বাজারে বা রাস্তার পাশে একটি ছোট দোকানে বিক্রি করা লাভজনক হতে পারে।
• হস্তশিল্পের ব্যবসাঃ- হাতে তৈরি হস্তশিল্পের পণ্য যেমন, বাঁশের আসবাবপত্র, মাটির জিনিস, নকশিকাঁথা ইত্যাদি তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যায়।
• সেলাই কাজের ব্যবসাঃ- যারা সেলাইয়ে দক্ষ, তারা ১০ হাজার টাকায় সেলাই মেশিন কিনে গ্রাহকদের জন্য কাপড় সেলাইয়ের কাজ করতে পারেন। এটি একজন ব্যক্তির জন্য ছোট ব্যবসার চমৎকার আইডিয়া।
• মোবাইল রিচার্জ ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসাঃ- ১০ হাজার টাকায় মোবাইল রিচার্জ বা ফ্লেক্সিলোডের ছোট ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আপনি স্থানীয় এলাকায় এই সার্ভিস অফার করে আয় করতে পারেন।
• গার্মেন্টস পণ্য বিক্রিঃ- কম খরচে পাইকারি দামে গার্মেন্টস পণ্য কিনে স্থানীয় এলাকায় বা বাজারে বিক্রি করতে পারেন। যেমন শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি।
• ছোট মুদি দোকানঃ- ১০ হাজার টাকায় একটি ছোট মুদি দোকান শুরু করা যেতে পারে যেখানে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন চাল, ডাল, চিনি, তেল ইত্যাদি বিক্রি করা সম্ভব।
• ফল বিক্রির ব্যবসাঃ- ফল যেমন আম, কলা, আপেল ইত্যাদি কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। ছোট পরিসরে এটি শুরু করা সহজ।
• মাছের ব্যবসাঃ- স্থানীয় বাজার বা কাছাকাছি কোনো নদী থেকে মাছ কিনে তা বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণও ভালো হয়।
• বাইসাইকেল মেরামতের দোকানঃ- আপনার যদি বাইসাইকেল মেরামতের দক্ষতা থাকে, তাহলে ১০ হাজার টাকায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
• পোলট্রি ব্যবসাঃ- ১০ হাজার টাকায় ছোট আকারে মুরগি পালনের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। মুরগির ডিম ও মাংস বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করা যায়।
• কসমেটিক্স বিক্রির দোকানঃ- ১০ হাজার টাকায় ছোট পরিসরে জনপ্রিয় কসমেটিক্স পণ্য যেমন সাবান, শ্যাম্পু, ক্রিম, লোশন ইত্যাদি এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা সম্ভব।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

ব্যবসা শুরু করার আগে সঠিকভাবে বাজার যাচাই করা, ব্যবসার ধরন সম্পর্কে ভালোভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি, এটি আপনার ব্যবসার যাত্রা শুরু করার জন্য সহায়ক হবে। কোনো ভুল বা ত্রুটি হয়ে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।