গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসের সতর্কতা

দাঁতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়? গর্ভবতী মায়েদের অনেক সময় রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়েরা দ্বীনের একটা বড় সময় ঘুমিয়ে কাটান আপনি কি জানেন এই অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে আপনার গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে তাই সারাদিন শুয়ে বসে নয় কিছুটা ফিজিক্যালি অ্যাক্টিভিটিও থাকা জরুরী অনেক সময় দেখা যায় যে গর্ভবতী মহিলারা ভালো করে ঘুমাতে পারে না অনেক সময় বিনিদ্র রাত কাটে তাঁদের

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় একটা কথা মাথায় রাখবেন আমার আপনার মত গর্ভবতী মহিলাদেরও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ও বিশ্রামের প্রয়োজন গর্ভবতী মহিলা ও তার সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে গর্ভবতী মহিলাদের দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো দরকার এই ঘুম যদি ভালো না হয় তাহলে পেগনেন্সিতে নানান রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে

ভূমিকা

গর্ভবতী মহিলাদেরকে একটা কথা সবসময় মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত ঘুম আপনার সন্তানের জন্য বিপদ ডেকে নিয়ে আনতে পারে গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসের সতর্কতা সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আর্টিকেলটিতে তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন

গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসের সতর্কতা

পেজ সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়? গর্ভ অবস্থায় প্রথম তিন মাসে গর্ভবতী মেয়েদের শারীরিকভাবে হরমোনগত পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যায় যেমন মাথা ঘোরা, খারাপ লাগা, স্থানের পরিবর্তন,  বুক জ্বালাপোড়া করা, ইত্যাদি সহ বিভিন্ন রকম সমস্যার লক্ষণ দেখা যায় 

তবে মনে রাখতে হবে যে গর্ব অবস্থায় এগুলো স্বাভাবিক ব্যাপার সুতরাং প্রয়োজনে বাড়তি সতর্কতা ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসের সতর্কতা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় আপনার শরীর নতুন জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে শুরু করে এবং গর্ভের শিশুর বিকাশ শুরু হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা দেওয়া হল

খাদ্যাভ্যাসঃ-

  • পুষ্টিকর খাবার খানঃ- প্রোটিন, ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং দুধ জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
  • এড়িয়ে চলুনঃ- ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার। কাঁচা বা আধা-কাঁচা মাছ এবং মাংস খাবেন না।
ঔষধ ও সম্পূরক:
  • চিকিৎসকের পরামর্শঃ- যেকোনো ঔষধ বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • ফোলিক অ্যাসিডঃ- গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ফোলিক অ্যাসিড গ্রহণ খুবই জরুরি, কারণ এটি শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়তা করে।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপঃ-
  • নিয়মিত হালকা ব্যায়ামঃ- হাঁটা, হালকা যোগা বা প্রণালী ব্যায়াম করতে পারেন।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রমঃ- ভারী কাজ বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
মানসিক স্বাস্থ্যঃ-
  • স্ট্রেস কমানোঃ- অতিরিক্ত স্ট্রেস আপনার এবং শিশুর উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে। মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমঃ- প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিন।
চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগঃ-
  • প্রথম প্রেনেটাল ভিজিটঃ- গর্ভাবস্থার প্রথম মাসেই চিকিৎসকের কাছে প্রথম প্রেনেটাল ভিজিট করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • নিয়মিত চেকআপঃ- চিকিৎসকের নির্দেশিত সময়ে চেকআপ করুন।
এই সতর্কতাগুলো মেনে চললে আপনি ও আপনার গর্ভের শিশু সুস্থ থাকবেন। যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের সতর্কতা

আপনি যদি তিন মাসের গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়মের ভেতরে থাকতে হবে এবং এই নিয়মের ভিতরে থাকতে পারলে আপনার ও আপনার বাচ্চার জন্য বেশ উপকারী হবে এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য ও দেহ মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে নিচের নিয়ম গুলো দেওয়া হল

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের সতর্কতা

একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে গেলে এরপর থেকে সাবধানে চলাফেরা করুন এবআপনি সবসময় ধূমপান এর ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন যা প্রত্যক্ষ বা পরুক যেমনই হোক না কেন সাধারণত এই সময় অন্য যেকোনো জিনিসের চেয়ে সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান এর ধোয়া তাই সব সময় এসব থেকে দূরে থাকুন এবং গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় সে সম্পর্কে ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি।

আরো পড়ুন: আখের রস খাওয়ার নিয়ম ও গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যেহেতু অন্তঃসত্ত্বা তাই আপনাকে সবসময় একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে তাই আপনি যতটুকু সম্ভব একজন ডাক্তার নির্বাচন করুন তবে আপনাকে একটা কথা মনে রাখতে হবে যেমন আপনি যে ডাক্তার নির্বাচন করবেন সেই ডাক্তারের সাথে যে কোন সময় যোগাযোগ সম্ভব করা যাবে কিনা

এবং যে কোন দরকারে তাকে পাওয়া যাবে কিনা সেই সাথে ডাক্তারের দূরত্বটা খেয়াল রাখবেন তার কারণ হলো আপনি যেহেতু সত্য তাই এ সময় ফলাফল করতে পারবেন না কেননা অতিরিক্ত আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তাই তাই এমন ডাক্তার নির্বাচন করুন যে ডাক্তারের কাছে অল্প সময়ের ভেতর যেতে পারবেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়ম তার সপ্তাহ হওয়ার কারণে শরীরে বেশ কিছু বেশকিছু হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে পারে যার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন বমি ভাব মাথা ঘোরা খেতে না পারা শরীর বেশি খারাপ হতে পারে তবে সবার ক্ষেত্রেই যে এই পরিস্থিতির শিকার হতে হবে তাও কিন্তু ঠিক নয়

কিছু কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে আবার কখনো কখনো একটি লোক কোন লেখা যেতে পারে যদি এমন কিছু দেখা যায় তাহলে ভয় পাবেন না বেশি বমি হলে সকালে উঠে পানি খেতে পারেন যদি বেশি মাথা ঘুরালে শুয়ে পড়ুন কিছুক্ষণ রেস্ট করলে ঠিক হয়ে যাবে।

এ সময় হরমোন ঘাটতি পরিবর্তনের কারণে স্তনের আকারের পরিবর্তন শুরু হয় সেই কারণে স্তন ব্যাথা হবে স্তন নরম হয়ে যাবে এমনটা হলে কখনো ভয় পাবেন না সব সময় মনে রাখবেন এই পরিবর্তন আপনার সন্তানের জন্য জরুরী।

এবং আরো দেখে খেয়াল রাখবেন সেটি হলো নিজে কাজ করছেন তা প্রেগনেন্সি সেভ কিনা জেনে নিন গর্ভবতী অবস্থায় কোন ভারী কাজ করা যাবে না মনে রাখবেন প্রথম তিন মাস খুব সাবধানে চলাফেরা করবেন তার কারণ হলো এই তিন মাসে এবরশনের হার বেশি থাকে সেই সাথে এমন কোন খাবার খাবেন না যে যেটা আপনার বাচ্চার জন্য খারাপ হবে

পেঁপে মানুষের সাথে কাছা বা আদা সিদ্ধ প্রোটিন যেমন মাছ মাংস ডিম এসব পরিহার করে ফেলতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার ভালো করে রান্না করে তারপরে খাবেন সেই সাথে গুলি চিজ এ জাতীয় খাবার পরিহার করে চলবেন

আমরা জানি যে গর্ভবতী মায়েদের প্রথম তিন মাস খেতে কষ্ট হয় এবং তাদের কিছু খেতে ইচ্ছে করে না তবুও বাচ্চার কথা চিন্তা করে কতটা সম্ভব ততটুকু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এবং শরীরের যদি গ্যাসের প্রভাব থাকে এবং মাথা ব্যথা বা জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাবেন না 

যদি আপনি সব সমস্যায় ভুগেন তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করবেন যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে এতে করে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

আরো পড়ুন: লটকন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত ঘুমের প্রয়োজন দিনে প্রায় আট থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন এছাড়া সারাদিনের কাজের ফাঁকে ফাঁকে হালকা বিশ্রাম নিতে পারেন। অবশ্যই আপনি গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম তিন মাসের সর্তকতা মেনে চলবেন এতে আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য বেশ উপকারী হবে এবার চলুন গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন সেই সম্পর্কে বলা যাক

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন

গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা, বিশেষ করে প্রথম ত্রৈমাসিকে। এর বিভিন্ন কারণ হতে পারে, যেগুলি সাধারণত গুরুতর নয়। তবে, কখনও কখনও তলপেটের ব্যথা হতে পারে গুরুতর কোনো সমস্যার সংকেতও। এখানে কিছু সাধারণ কারণ এবং সম্ভাব্য গুরুতর কারণ উল্লেখ করা হলোঃ-

সাধারণ কারণঃ-

  • গর্ভাশয়ের পরিবর্তনঃ- গর্ভাশয় এবং আশেপাশের পেশী এবং লিগামেন্টগুলি প্রসারিত হয়, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • পেটের গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যঃ- গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে পেটের গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য সাধারণ সমস্যা। এটি তলপেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • রাউন্ড লিগামেন্ট পেইনঃ- গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে, রাউন্ড লিগামেন্ট প্রসারিত হয় এবং এই প্রসারণ ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • ইমপ্লান্টেশন ক্র্যাম্পিংঃ- যখন গর্ভের ভ্রূণ গর্ভাশয়ে সংযুক্ত হয়, তখন এটি হালকা ক্র্যাম্পিং এবং তলপেটে ব্যথার কারণ হতে পারে।
সম্ভাব্য গুরুতর কারণঃ-
  • গর্ভপাতঃ- গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে তলপেটে ব্যথার সাথে রক্তপাত হলে, এটি গর্ভপাতের সংকেত হতে পারে।
  • অ্যাকটপিক প্রেগনেন্সিঃ- যখন ভ্রূণ গর্ভাশয়ের বাইরে, সাধারণত ফ্যালোপিয়ান টিউবে বেড়ে ওঠে, এটি তীব্র তলপেটে ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • প্ল্যাসেন্টা প্রিভিয়াঃ- প্ল্যাসেন্টা যদি গর্ভাশয়ের নিম্নাংশে থাকে এবং জরায়ুর মুখ ঢেকে রাখে, এটি ব্যথা এবং রক্তপাতের কারণ হতে পারে।
  • প্রি-এক্লাম্পসিয়াঃ- এই অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ এবং অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে, যা তলপেটে ব্যথার একটি গুরুতর কারণ হতে পারে।
কী করবেন:
  • চিকিৎসকের পরামর্শঃ- তলপেটে ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন, বিশেষ করে যদি ব্যথা তীব্র হয় বা সাথে রক্তপাত, মাথা ঘোরা, বা উচ্চ তাপমাত্রা থাকে।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রামঃ- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং বেশি পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
  • পানীয় গ্রহণঃ- পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এটি অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন আশা করি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথার কারণ যদি সাধারণও হয়, তবে যে কোনো ধরনের ব্যথা বা অস্বস্তি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কে কি ফল খাওয়া যাবে না। এবং কি কি ফল আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। এবং আপনি যদি না জেনে এসব ফল খেয়ে থাকেন। তাহলে সেই সব ফল খাওয়ার জন্য আপনার এবং আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই চলুন গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা গর্ভাবস্থায় সাধারণত বেশিরভাগ ফল খাওয়া নিরাপদ এবং পুষ্টিকর। 

আরো জানুন: লটকন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

তবে কিছু ফল এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলি মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নিচে কিছু ফলের নাম এবং কারণ উল্লেখ করা হলো যা গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা ভালোঃ-

  • পেঁপে (পাকা ও কাঁচা) কারণঃ- কাঁচা বা আধা-পাকা পেঁপেতে পেপেইন এবং লেটেক্স থাকে যা গর্ভাশয়ের সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • পাকা পেঁপেওঃ- অনেক সময় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এতে গর্ভাশয় উদ্দীপিত হতে পারে।
  • আনারসঃ- আনারসে ব্রোমেলেইন নামক একটি এনজাইম থাকে যা গর্ভাশয়ের সংকোচন ঘটাতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • ডুরিয়ানঃ- ডুরিয়ান উচ্চ পরিমাণে গরম স্বভাবের ফল এবং এতে সালফার থাকে যা গর্ভের শিশুর বিকাশে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • আঙুরঃ- আঙুরে রেসভেরাট্রল থাকে, যা বড় পরিমাণে গ্রহণ করলে মা এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে, এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে এবং কিছু চিকিৎসক এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

সতর্কতা:

  • অধিক পরিমাণে ফল খাওয়াঃ- অতিরিক্ত ফল খেলে শরীরে অতিরিক্ত শর্করা প্রবেশ করতে পারে যা গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কেমিক্যালযুক্ত ফলঃ- ফলগুলো যদি কেমিক্যাল বা পেস্টিসাইড দিয়ে চাষ করা হয়, তবে তা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই অর্গানিক ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
নিরাপদ ফল নিরাপদ ফল
আপেল কমলা
কলা স্ট্রবেরি
তরমুজ আম

এই ফলগুলি সাধারণত গর্ভাবস্থায় খাওয়া নিরাপদ এবং পুষ্টিকর। তবে, গর্ভাবস্থায় যেকোনো ফল খাওয়ার আগে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম। আমরা আশা করি যে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আমি বুঝতে পেরেছেন যে গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না এবার চলুন গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া সাধারণত নিরাপদ এবং অনেক উপকারী হতে পারে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় হজম সমস্যার সম্মুখীন হলে লেবুর রস হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে তা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে পারে

এবং বমি বমি ভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে। তবে, লেবুর অম্লীয় স্বভাবের কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি অম্বল বা পেটের অন্যান্য সমস্যা বাড়াতে পারে। লেবু খাওয়ার আগে ফলটি ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া এবং যেকোনো নতুন খাদ্যাভ্যাস শুরু করার আগে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত

গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, তবে অতিরিক্ত শুয়ে থাকাও কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকার ফলে রক্ত সঞ্চালন কমে যেতে পারে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোলা এবং ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়া, বেশি শুয়ে থাকার কারণে পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে যা প্রসবের সময় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যেমন উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়া। তাই, গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি হালকা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, যেমন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ভারসাম্যপূর্ণ রুটিন মেনে চলা উচিত যাতে মা এবং শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়। আশা করি গর্ব অবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন

লেখকের শেষ মন্তব্য

আমি মনে করি যে গর্ব অবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় এবং গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা সেই সম্পর্কে আপনি সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং উপরের সকল পয়েন্টের নিয়ম গুলো মেনে চলুন এতে আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য বেশ উপকারী হবে আশা করি আর্টিকেলটি আপনার উপকারে এসেছে যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবারের সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত এরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য “ধন্যবাদ”

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইসরাত টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url