অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সহায়ক ১০টি উপকারী খাবার

এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো জানুনঅ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সহায়ক ১০টি উপকারী খাবার এলার্জি বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের কাছে একটি অসহনীয় ব্যাধি। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে এলার্জি জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।

অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সহায়ক ১০টি উপকারী খাবার

ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করার সময় হঠাৎ হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর দুধ খাওয়ার পর কারো কারো এলার্জি হতে পারে। কিছু পুষ্টি উপাদান এলার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পুষ্টি উপাদানে ভরপুর খাবার খাওয়া প্রদাহের মাত্রা কমাতে পারে। ভিটামিন সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, উদ্ভিদ উপাদান এবং প্রোবায়োটিক্সের মতো পুষ্টি উপাদানগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা প্রদাহ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অতিসংবেদনশীলতা কমাতে সাহায্য করে।

আরো জানুন:- নিম পাতার ক্ষতিকর দিক এবং নিম পাতার বড়ি খাওয়ার নিয়ম

১. আদা: আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে, যা এলার্জির কারণে সৃষ্ট প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত আদা চা পান করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার থাকে এবং এলার্জি উপশমে সহায়ক হয়।

২. হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা এলার্জির লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় হলুদ ব্যবহার করলে এলার্জির প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৩. মৌরি: মৌরিতে থাকা কিছু উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং এলার্জির কারণে সৃষ্ট অস্বস্তি দূর করতে কার্যকর। মৌরি চিবিয়ে খেলে বা মৌরি চা পান করলে গলা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয়।

৪. টক জাতীয় ফল: লেবু বা কমলালেবু, কমলা এবং অন্যান্য টক জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে এবং এলার্জির লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টক ফল যুক্ত করলে এলার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৫. মধু: স্থানীয় মধুতে বিভিন্ন ফুলের পরাগ কণা থাকে, যা নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীর এসব উপাদানের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে এলার্জির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। তবে স্থানীয় মধু ব্যবহারই বেশি উপকারী।

৬. দই ও অন্যান্য প্রোবায়োটিক খাবার: দইয়ে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত দই খেলে এলার্জির লক্ষণ কমানোর পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

৭. পেঁয়াজ এবং রসুন: পেঁয়াজ এবং রসুনে থাকা কুয়ারসেটিন নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এলার্জির বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হাঁচি ও শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।

৮. কুমড়ার বীজ: কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম শ্বাসনালীর পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে, যা শ্বাসকষ্ট বা এলার্জির সময় শ্বাস নিতে সহজ করে। এছাড়া এতে থাকা অন্যান্য উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে।

আরো জানুন:- চুল লম্বা করার তেলের নাম ও মেয়েদের চুল ঘন করার তেলের নাম

৯. সবুজ পাতা ও সবজি: সবুজ পাতার শাকে থাকা নানা পুষ্টিগুণ এলার্জির সময় শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে সুরক্ষা দেয় এবং এলার্জির সময় প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে।

১০. ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার: চিয়া বীজ, স্যামন মাছ এবং অন্যান্য ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার এলার্জির সময় প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

আশা করি অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সহায়ক ১০টি উপকারী খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিত্যনতুন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইসরাত টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url