এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো জানুন এলার্জি রোগের চিকিৎসা সহ

• দুধ -- এবং দুগ্ধজাত পণ্য: গরুর দুধ, পনির, দই, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তিন বছরের শিশুদের গরুর দুধের মধ্যে এলার্জি থাকে সাধারণত তাই গরুর দুধ খেয়ে এলার্জি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা যায় করা হয়.
• ডিম -- সকল এলাকা জাতীয় খাবার রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডিম ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটিই এলার্জির কারণ হতে পারে।
• মাছ -- অনেক সময় সামুদ্রিক মাছের মধ্যে এলার্জি দেখা যায় বিশেষ করে স্যামন, টুনা, এবং হ্যালিবাট।
• শেলফিশ-- চিংড়ি, কাঁকড়া, এবং লবস্টার।
• বাদাম -- অনেক সময় দেখা যায় চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে উদাহরণস্বরূপ যে বাদাম গুলোতে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে আখরোট, বাদাম, পেস্তা, কাজু ইত্যাদি।
• সয়াবিন-- অনেক সময় দেখা যায় সয়াবিন থেকে এলার্জির জনিত সমস্যা কিন্তু পরবর্তী টাইমে নির্দিষ্ট একটা বয়স হওয়ার পরে কমতে শুরু করে সয়াবিন এবং সয়াবিন থেকে তৈরি পণ্য। এলার্জির জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে
• গম -- সকল এলার্জি জাতীয় খাবার রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো গম বাসায় আমরা সাধারণত ঘুমের আটার রুটি খেয়ে থাকি এর ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় এলার্জির সমস্যা দেখা যাই এবং গম থেকে তৈরি পণ্য।

কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই

• কলা -- কলার মধ্যে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে কলার মধ্যে সাধারণত কোন এলাকায় জনিত সমস্যা নেই যদি এলার্জি জাতীয় কোন খাবার খাওয়ার পরে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কলা খেলে সে সমস্যা দূর হয়ে যাবে তাই আমাদেরকে নিয়মিত কলা খাওয়া উচিত এতে করে আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক থেকে অনেক বেশি উপকারিতা
• লেবু -- লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি সাধারণত এই ফল এলার্জি সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে আমরা যদি নিয়মিত পানি এবং মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খায় তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারিতা হবে আপনার যদি এলা দিয়ে সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি লেবু পানি পান করুন
• শসা এবং গাজর -- যে সকল খাবারের মধ্যে এলার্জি সমস্যা গুলো নেই তার মধ্যে অন্যতম হলো শসা এবং দাদুর শসা এবং গাজরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান তাই আমাদের যদি খেলা জনিত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি শসা এবং গাজর খেতে পারেন এতে করে আপনার এলার্জির জনিত সমস্যা দূর হবে
• পেপে -- পেঁপেতে অনেক পুষ্টি রয়েছে তাই যদি আমাদের এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনি নিঃসন্দেহ পেঁপে খেতে পারেন এতে করে আপনার কোন এলার্জিজনিত সমস্যা হবে না
• গ্রিন টি -- গ্রিন টি আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করে থাকি আবার অনেকেই মনে করে যে এই খাবারটার মধ্যে এলার্জি রয়েছে কিন্তু এ বিষয়টা এরকম নয় এই খাবারের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন থাকে তাই এই উপাদান গুলো আমাদের স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এতে করে কোন এলার্জির সমস্যা হয় না
• ক্যাস্টর অয়েল -- এই তেলগুলো আমাদের ফুলের পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং এই তেলের মধ্যে কোন ধরনের এলা যে জনিত সমস্যা নেই আপনার যদি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই কাস্টর অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন অথবা খেতে পারেন

এলার্জি জাতীয় সবজির তালিকা

• টমেটো
• বেগুন
• মাশরুম
• পুঁইশাক
• সিম
• কদু
• গাজর
• টমেটো
• ফুলকপি
• বাঁধাকপি
• কুমড়া
• পেঁপে
• কচু শাক কচুর শাক
• পালং শাক
• লাল আলু

এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া নিষেধ

এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো এই সম্পর্কে আমরা উপরের ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি এখান থেকে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে কোন খাবারগুলো থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে কারণ এই খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে এলার্জিজনিত সমস্যা তবে আপনার যদি আগে থেকে এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে খাবার গুলো খাওয়া একেবারে বন্ধ করতে হবে

সাধারণত যে সকল খাবার খেলে এলার্জিজনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে অথবা এলার্জি হতে পারে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গরুর দুধ ডিম বাদাম মাছ গম গরুর মাংস এবং ফল ইত্যাদি আপনার যদি এলাকার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো কখনোই আর খাওয়া যাবে না তা না হলে আপনাকে আবার এলার্জির সমস্যায় ভুগতে হবে

এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া যাবে

এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া যাবেনা সে বিষয়ে আপনাদের মধ্যে আলোচনা করেছি যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা কোন ধরনের খাবার গুলো খাবে এই বিষয়ে অনেক চিন্তিত থাকে কারণ এই খাবার খেলে তাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আরো বেড়ে যায় তাই কোন খাবারগুলো খেতে পারবেন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন

আপনার যদি এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে কলা এবং বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন কারণ এই ফলগুলোর মধ্যে কোন ধরনের এলার্জিজনিত সমস্যা নেই যদি এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে কমলা লেবু অর্থাৎ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে পারেন

এই ফলে কখনো এলার্জি সমস্যা বাড়বে না বরং আরো কমবে গ্রিন টি অথবা শসা খেলে এলাকার সমস্যা কখনোই বাড়ে না তাই আপনি চিন্তিত না হয়ে এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে পারেন শুধুমাত্র যেই খাবারগুলো আপনাকে নিষেধ করা হয়েছে সেই খাবারগুলো কখনোই খাবেন না

এলার্জি সমস্যা কমানোর উপায়

তাই এ বিষয়গুলো কখনো অবহেলা করবেন না যখন আপনার অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা দেখা দেবে সাধারণত তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে অথবা যে খাবারগুলো খেলে এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায় সেই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে

অনেক সময় দেখা যায় ঠান্ডা লাগার কারণে এলার্জি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে তাই আপনার উচিত ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে না হাঁটা যখন নদীতে হাঁটবেন তখন অবশ্যই স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে হাঁটবেন আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রেই গরমের সময় অতিরিক্ত অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে

তাই সব সময় নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন আবার বেশ কিছু খাবারের মধ্যেও এলাকা জনিত সমস্যা রয়েছে সেই খাবারগুলো থেকে সব সময় দূরে থাকবেন আর কোন খাবার গুলোর মধ্যে এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তা উপর আলোচনা করা হয়েছে

এলার্জি রয়েছে এরকম মাছ কোনগুলো

• বোয়াল মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• পুঁটি মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• তেলাপিয়া মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• চিংড়ি মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• ইলিশ মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• ভেটকি মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• চিতল মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• কট ফিস মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• রেড স্ন্যাপারমাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• হ্যাডক মাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• সোর্ডফিশমাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• পোলকমাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• বেসমাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• হেরিংমাছের মধ্যে এলার্জি থাকে
• ফ্লাউন্ডারমাছের মধ্যে এলার্জি থাকে

এলার্জি সমস্যা হলে আমাদের করণীয়

এই রোগের কারণ না জেনে কখনোই এর চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় খাবার খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা বেড়ে যায় তাই আপনার যদি এলার্জি সমস্যা হয় তাহলে প্রথমে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন খাবার খাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে সেই খাবার আপনার খাদ্য তালিকা থেকে একেবারে জন্য বিদায় দিতে হবে

যদি অল্প পরিমাণে খেলে কোন সমস্যা না হয় তাহলে খেতে পারেন কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া থেকে দূরে থাকুন অনেক সময় রাস্তাঘাটে ধুলাবালি আমাদের নাক এবং মুখ দিয়ে প্রবেশ করে এতে করে এলার্জি জনিত সমস্যা সৃষ্টি করে সাধারণত আমরা যখন বাইরে যাব তখন অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করব

এতে করে আমাদের শরীরে জীবাণু অথবা ধুলাবালু প্রবেশ করতে পারবে না তাই এ বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাদেরকে মেনে চলতে হবে এলার্জি জনিত রোগের চিকিৎসা রয়েছে যদি আপনি সেটি সঠিক সময় গ্রহণ করে থাকেন বর্তমানে চিকিৎসা পদ্ধতি এত উন্নতি হয়েছে যে এমন কোন রোগ নেই যে তার কোন চিকিৎসা নেই

এলার্জি রোগের চিকিৎসা

আরো পড়ুন: ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং ড্রাগন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত

তাছাড়া যদি একটুতেই আপনার এলার্জি সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন কারন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যদি আপনি সঠিক সময় চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এলার্জি রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন এলার্জি রোগের চিকিৎসা নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে.

লেখকের শেষ মন্তব্য

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারী হয়ে যায়আশা করি আপনি আমাদের আর্টিকেল থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রতিদিন পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন