মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত ২০২৪ এ আসুন তা জানা যাক
স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে বিস্তারিত জেনে নিনমোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত ২০২৪? মূলত ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয় এবং তার সাথে কিছু ফ্রি প্রদান করতে হয়। আপনি যদি একটি নতুন মোটরসাইকেল ক্রয় করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ডাইভিং লাইসেন্স করে নিতে হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নতুন হিসেবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাই কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স ফ্রি কত তা জানে না তাই আজকে এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে তা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৪ এটা জানার জন্য হয়তো আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু আপনি হয়তো কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি তাই আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত ২০২৪ সালে এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত ২০২৪ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভূমিকা
পেজ সূচিপত্র: ইতিমধ্যে আমরা জানি যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট আইন অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং সেগুলো কোন ধরনের ডাইভিং লাইসেন্স এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত সেগুলো সম্পর্কেবিস্তারিত জানা যাক।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত ২০২৪
আরো জানুনঃ- অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইফোনে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলি কীভাবে সংগ্রহ করবেন
তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানাবো অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স মূলত অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নামে পরিচিত যা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ২০২৪ সালে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মোট খরচ প্রায় ৪,১৫২ টাকা । এই খরচের মধ্যে রয়েছে।
- লার্নার লাইসেন্স ফিঃ- প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণের জন্য।
- ড্রাইভিং টেস্ট ফিঃ- চালকের দক্ষতা পরীক্ষা করার জন্য।
- লাইসেন্স ইস্যু ফিঃ- লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য নির্ধারিত ফি।
এই ফি ছাড়াও কিছু অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যেমন
- আবেদন ফিঃ- আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট ফি।
- ভ্যাট ও ট্যাক্সঃ- লাইসেন্স ফি-এর উপর প্রযোজ্য ভ্যাট এবং অন্যান্য ট্যাক্স।
তবে, খরচের এই পরিমাণ অঞ্চলভেদে বা বিআরটিএর নিয়ম অনুযায়ী সামান্য কিছু টাকা কম বেশি হতে পারে। সঠিক এবং সর্বশেষ তথ্যের জন্য বিআরটিএ অফিস বা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আশা করি মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত ২০২৪ তা বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৪
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং মোটরসাইকেল ও ছোট যানবাহন চালানোর জন্য প্রযোজ্য। ২০২৪ সালে, এই লাইসেন্সের জন্য মোট খরচ প্রায় ৪,১৫২ টাকা হতে পারে। এই ফি-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে:
- লার্নার লাইসেন্স ফিঃ- প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। ফি প্রায় ৩৪৫ টাকা হতে পারে।
- ড্রাইভিং টেস্ট ফিঃ- ড্রাইভিং দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য ফি প্রায় ২০০ টাকা।
- লাইসেন্স ইস্যু ফিঃ- লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য নির্ধারিত ফি প্রায় ২,৭৬৫ টাকা।
- এছাড়াও, আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য কিছু অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যেমনঃ-
- আবেদন ফিঃ- আবেদন জমা দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট ফি।
- ভ্যাট ও ট্যাক্সঃ- লাইসেন্স ফি-এর উপর প্রযোজ্য ভ্যাট এবং অন্যান্য ট্যাক্স।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স সাধারণত বাণিজ্যিক যানবাহন চালানোর জন্য প্রয়োজন হয়। যেমন মাইকো টাক ইত্যাদি সহ যাবতীয় যানবাহন চলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব ২০২৪ সালে, এই লাইসেন্সের জন্য মোট খরচ হতে পারে।
- লার্নার লাইসেন্স ফিঃ- প্রায় ৩৪৫ টাকা।
- ড্রাইভিং টেস্ট ফিঃ- প্রায় ২০০ টাকা।
- লাইসেন্স ইস্যু ফিঃ- প্রায় ৩,৪৬০ টাকা।
এছাড়াও, পেশাদার লাইসেন্সের জন্য কিছু অতিরিক্ত খরচ হতে পারে, যেমনঃ-
- আবেদন ফিঃ- প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট ফি।
- ভ্যাট ও ট্যাক্সঃ- লাইসেন্স ফি-এর উপর প্রযোজ্য ভ্যাট এবং অন্যান্য ট্যাক্স।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত এবং এরও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকলে আপনার লাইসেন্সে করার প্রক্রিয়া আরো সহজ হয়ে দাঁড়াবে এবং প্রয়োজনীয় খরচ হিসাব করতে সাহায্য করবে এছাড়াও আপনি যদি সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে বিআরটিএ- এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা আপনার নিকটস্থ বিআরটিএ অফিসে গিয়ে সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন। লাইসেন্সে করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ও কাগজপত্র গুলো প্রস্তুত করুন এবং আপনি সঠিকভাবে বিআরটিএ এর সকল নিয়ম কানুন মেনে সঠিক ভাবে আবেদন করুন।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৪
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি ২০২৪
- লার্নার লাইসেন্স ফিঃ- লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রাথমিক আবেদন ফি সাধারণত প্রায় ৩৪৫ টাকা। এই ফি দিয়ে আপনি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য অনুমতি পাবেন।
- ড্রাইভিং টেস্ট ফিঃ- লার্নার লাইসেন্সের প্রাথমিক পর্যায় শেষ হলে, ড্রাইভিং টেস্ট নেওয়া হয়। এই টেস্টের জন্য প্রায় ২০০ টাকা ফ্রি চার্জ করা হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা যাচাই করা হয়, যা লাইসেন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরো জানুনঃ- বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- লাইসেন্স ইস্যু ফিঃ- লার্নার লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য নির্ধারিত ফি প্রায় ১,৫০০ টাকা । এই ফি দেওয়ার পর আপনাকে একটি অফিসিয়াল লাইসেন্স প্রদান করা হবে যা সাধারণত ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকে।
অতিরিক্ত খরচ
- আবেদন ফিঃ- আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার সময় কিছু অতিরিক্ত ফি থাকতে পারে, যা সাধারণত প্রায় ১০০-২০০ টাকা হতে পারে। এই ফি আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
- ভ্যাট ও ট্যাক্সঃ- লাইসেন্স ফি-এর উপর ভ্যাট এর প্রয়োজন পড়ে যা অন্যান্য ট্যাক্সের উপর ভিত্তি করে কিছু পরিমাণে অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। সাধারণত, ফি-এর ১৫% এর মতো ভ্যাট যোগ করা হয়।
এবার আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব লার্নার ডাইভিং লাইসেন্স করার ক্ষেত্রে এর কিছু আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে যেগুলো মেনে আবেদন করা বাধ্যতামূলক আপনার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সে করার জন্য বা আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- অনলাইন আবেদনঃ- বিআরটিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফর্ম পূরণ করার সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের বিস্তারিত এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
- কাগজপত্র জমাঃ- অনলাইনে আবেদন করার পর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সাধারণত নিচে দেওয়া কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন পড়ে।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩-৪ কপি)
- স্বাস্থ্য সনদপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
- ফি পরিশোধঃ- আবেদন জমা দেওয়ার পর, নির্ধারিত ফি অনলাইনে বা বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে। ফি পরিশোধের পর একটি পেমেন্ট রসিদ দেওয়া হবে আপনাকে এবং সেই রশিদটি আবেদন ফর্মের সাথে জমা দিন।
- বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানঃ- আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন, আপনাকে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দিয়ে আসতে হবে।
- ড্রাইভিং প্রশিক্ষণঃ- লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার পর, বিআরটিএ অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। এটি সাধারণত এক মাসের জন্য চলতে পারে এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চালানো হয়।
- লাইসেন্স সংগ্রহঃ- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, নির্ধারিত সময়ে আপনার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস এবং এই সময়ের মধ্যে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
আশা করি রান্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন প্রক্রিয়া এবং খরচ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন এবং বিস্তারিত আরো তথ্য জানার জন্য বিআরটিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় বিআরটিএ অফিসে গিয়ে সর্বশেষ তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তারা আপনাকে সাহায্য করবে ।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম
আরো জানুনঃ- হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়
প্রথমে, আপনাকে বিআরটিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (brta.gov.bd/) প্রবেশ করতে হবে। সেখানে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন যদি আপনার আগে থেকেই একটি অ্যাকাউন্ট না থাকে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রয়োজন হবে। একবার অ্যাকাউন্ট তৈরি হলে, আপনি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে লগইন করার পর, "লাইসেন্স নবায়ন" অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে আপনার বর্তমান লাইসেন্সের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং কিছু বেসিক ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। সাধারণত, এই ডকুমেন্টগুলির মধ্যে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বর্তমান লাইসেন্সের কপিসহ পাসপোর্ট সাইজের ছবি দেওয়া লাগতে পারে ।
এরপর, আপনাকে ফি পরিশোধ করতে হবে। ফি অনলাইনে ব্যাংক ট্রান্সফার বা মোবাইল ব্যাংকিং দ্বারা দিতে পারবেন । এবং ফ্রি পরিশোধের পর একটি পেমেন্ট রসিদ সংগ্রহ করুন। এটি আপনার আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
ফি পরিশোধের পরে, বিআরটিএ আপনাকে একটি রেফারেন্স নম্বর দিয়ে দিবে । এই নম্বর ব্যবহার করে আপনি আপনার আবেদন status ট্র্যাক করতে পারবেন। আবেদন সফলভাবে জমা দিলে, আপনার নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং আপনাকে নতুন লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একটি কনফার্মেশন পাঠানো হবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অনলাইনে নবায়নের জন্য আপনার পুরনো লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবেদন করতে হবে, অন্যথায় অতিরিক্ত জরিমানা লাগতে পারে। নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনার নতুন লাইসেন্স সাধারণত নির্ধারিত সময়ে আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে।
আশা করি এই আবেদন প্রক্রিয়া আপনার কাজে আসবে আমার দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই বেঁচে যাবে তাহলে দেরি না করে সঠিক নিয়ম কানুন মেনে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন প্রক্রিয়া চালিয়ে যান এতে করে আপনি খুব দ্রুত আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৪
এটি মোটরসাইকেল বা ছোট যানবাহন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। ২০২৪ সালে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ফি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানলে, আপনি আরও সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিতে পারবেন। আপনি যদি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পুরো পোস্টটি আপনার জন্য অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৪? লার্নার লাইসেন্সের জন্য ফি সাধারণত ৩৪৫ টাকা। এই ফি দিয়ে আপনি প্রাথমিক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
- ড্রাইভিং টেস্ট ফিঃ- লার্নার লাইসেন্সের মাধ্যমে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে, আপনাকে ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হবে। এই টেস্টের জন্য প্রায় ২০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়। ড্রাইভিং টেস্টের মাধ্যমে আপনার চালানোর দক্ষতা যাচাই করা হয়, যা লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয়।
- লাইসেন্স ইস্যু ফিঃ- ড্রাইভিং টেস্ট সফলভাবে পাস করার পর, আপনাকে লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য একটি নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। ২০২৪ সালে, এই ফি প্রায় ২,৭৬৫ টাকা হতে পারে। এই ফি দেওয়ার পর আপনাকে একটি অফিসিয়াল অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
অতিরিক্ত খরচ
- আবেদন ফিঃ- আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার সময় কিছু অতিরিক্ত খরচ থাকতে পারে, যা সাধারণত প্রায় ১০০-২০০ টাকা হতে পারে। এই ফি আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয়।
- ভ্যাট ও ট্যাক্সঃ- লাইসেন্স ফি-এর উপর প্রযোজ্য ভ্যাট এবং অন্যান্য ট্যাক্সের কারণে সামান্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। সাধারণত, ফি-এর ১৫% এর মতো ভ্যাট যোগ করা হয়।
আবেদন প্রক্রিয়া
- অনলাইন আবেদনঃ- বিআরটিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফর্ম পূরণ করার সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যোগাযোগের বিস্তারিত এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
- কাগজপত্র জমাঃ- অনলাইনে আবেদন করার পর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সাধারণত, নিম্নলিখিত কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩-৪ কপি)
- স্বাস্থ্য সনদপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
- ফি পরিশোধঃ- আবেদন জমা দেওয়ার পর, নির্ধারিত ফি অনলাইনে বা বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে। ফি পরিশোধের পর একটি পেমেন্ট রসিদ সংগ্রহ করুন এবং সেটি আবেদন ফর্মের সাথে জমা দিন।
- বায়োমেট্রিক পরীক্ষাঃ- আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন, আপনাকে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট) প্রদান করতে হবে।
- ড্রাইভিং প্রশিক্ষণঃ- লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার পর, প্রয়োজনীয় ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। এটি সাধারণত এক মাসের জন্য চলতে পারে এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চালানো হয়।
- লাইসেন্স সংগ্রহঃ- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, নির্ধারিত সময়ে আপনার অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত ৫ বছর এবং সময়মতো নবায়ন করতে হবে।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ফি এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকলে আপনার লাইসেন্সের জন্য প্রস্তুতি নিতে এবং প্রয়োজনীয় খরচ হিসাব করতে সাহায্য করবে। আশা করি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার প্রক্রিয়া এবং আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবার আমরা জানবো অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি সম্পর্কে।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি ২০২৪
তাই এই আর্টিকেলটিতে আমরা অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি এবং এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
নবায়ন ফি
- লাইসেন্স নবায়ন ফিঃ- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য মূল ফি সাধারণত প্রায় ২,৭৬৫ টাকা হতে পারে। এই ফি আপনার পুরনো লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয়।
- অ্যাপ্লিকেশন ফিঃ- আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার সময় কিছু অতিরিক্ত ফি লাগতে পারে, যা সাধারণত প্রায় ১০০-২০০ টাকা। এই ফি আবেদন জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজন হয়।
- ভ্যাট ও ট্যাক্সঃ- লাইসেন্স ফি-এর উপর প্রযোজ্য ভ্যাট এবং অন্যান্য ট্যাক্সের কারণে কিছু অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। সাধারণত, ফি-এর ১৫% এর মতো ভ্যাট যোগ করা হয়, যা মোট খরচের উপর প্রভাব ফেলে।
আবেদন প্রক্রিয়া
- অনলাইন আবেদনঃ- বিআরটিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.brta.gov.bd) গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে । অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রয়োজন হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাঃ- অনলাইনে আবেদন করার পর, আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সাধারণত, নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলির প্রয়োজন হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- বর্তমান অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপিসহ পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩-৪ কপি)
- স্বাস্থ্য সনদপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
- ফি পরিশোধঃ- আবেদন জমা দেওয়ার পর, নির্ধারিত ফি অনলাইনে অথবা বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে। অনলাইনে ফি পরিশোধের জন্য সাধারণত ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং, অথবা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। ফি পরিশোধের পর একটি পেমেন্ট রসিদ সংগ্রহ করুন এবং সেটি আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করুন।
- বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানঃ- আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন, আপনাকে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট) প্রদান করতে হবে। এই ধাপটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনার পরিচয় নিশ্চিত করে এবং আপনার লাইসেন্সের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে।
- লাইসেন্স সংগ্রহঃ- নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, বিআরটিএ আপনাকে একটি কনফার্মেশন প্রদান করবে। সাধারণত, নবায়ন প্রক্রিয়ার পরে নতুন লাইসেন্স সাধারণত নির্ধারিত সময়ে আপনার ঠিকানায় পাঠানো হয়। লাইসেন্সের মেয়াদ সাধারণত ৫ বছর এবং সময়মতো নবায়ন করতে হবে।
অন্যান্য বিষয়
লাইসেন্স নবায়ন করার সময়, আপনি যদি কোন পরিবর্তন চান, যেমন আপনার ঠিকানা পরিবর্তন বা নাম সংশোধন, তাহলে আপনাকে আলাদাভাবে আবেদন করতে হতে পারে। এছাড়াও, যদি আপনার পুরনো লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং আপনি নবায়ন করতে দেরি করেন, তবে অতিরিক্ত জরিপানা দিতে হবে । অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য সঠিক তথ্য এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানলে আপনি সহজেই আপনার লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৪
ফি বিবরণ
- লার্নার লাইসেন্স ফিঃ- পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রথমে লার্নার লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। এই লাইসেন্সের জন্য সাধারণত ফি প্রায় ৫০০-৭০০ টাকা হতে পারে। এই ফি দিয়ে আপনি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ শুরু করতে পারবেন।
- ড্রাইভিং টেস্ট ফিঃ- লার্নার লাইসেন্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শেষ হলে, আপনাকে একটি ড্রাইভিং টেস্ট দিতে হবে। এই টেস্টের জন্য ফি প্রায় ৫০০-৭০০ টাকা হতে পারে। টেস্টের মাধ্যমে আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা যাচাই করা হবে, যা পেশাদার লাইসেন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- লাইসেন্স ইস্যু ফিঃ- ড্রাইভিং টেস্ট পাস করার পর, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করার জন্য নির্ধারিত ফি প্রায় ৩,০০০-৩,৫০০ টাকা হতে পারে। এই ফি দেওয়ার পর আপনাকে একটি অফিসিয়াল লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম ২০২৪
- অনলাইন আবেদনঃ- বিআরটিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.brta.gov.bd) গিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন এবং "লাইসেন্স নবায়ন" অপশন নির্বাচন করুন।
- তথ্য আপডেটঃ- আপনার বর্তমান লাইসেন্সের তথ্য এবং ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট করুন।
- ডকুমেন্ট আপলোডঃ- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বর্তমান লাইসেন্সের কপি, এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করুন।
- ফি পরিশোধঃ- নবায়ন ফি অনলাইনে ব্যাংক ট্রান্সফার, মোবাইল ব্যাংকিং, অথবা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড দ্বারা পরিশোধ করুন।
- বায়োমেট্রিক তথ্যঃ- বিআরটিএ অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট) প্রদান করুন।
- নতুন লাইসেন্স প্রাপ্তিঃ- নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, নতুন লাইসেন্স সাধারণত নির্ধারিত সময়ে আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে, আপনার লাইসেন্সের বৈধতা বজায় থাকবে এবং আপনি আইনের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। নিয়মিত নবায়ন নিশ্চিত করুন এবং আপনার সুরক্ষা বজায় রাখুন। আশা করি অ্যাটিকেলটিতে আপনি সঠিক তথ্য পেয়েছেন আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, এবং নিত্য নতুন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"
ইসরাত টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url