স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে বিস্তারিত জেনে নিন

হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে? এবং স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কি রয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এবং স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস কি সেই সম্পর্কে এখানে জানতে পারবেন। আপনি যদি ভোটার তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়ে থাকেন।

স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো ২০২৪

সাধারণত এই স্মার্ট কার্ড অনেক ভোটারকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো ৭ কোটি বা তারও বেশি ভোটারকে এই স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়নি। এই ২০২৪ সালে এসে আমরা অনেকেই স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো। তা জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকি। এবং স্মার্ট কার্ড বিতরণ কবে শুরু হবে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

পেজ সূচিপত্রঃ- বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র হলো এনআইডি কার্ড। যা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র। প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্ট কার্ডটি ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং পরিচয় নিশ্চিতকরণের সুবিধা প্রদান করে। যা আগের সাধারণ এন আইডি কার্ডের তুলনায় এই স্মার্ট কার্ডটি অনেক বেশি নিরাপদ, এবং স্মার্ট কার্ডের তথ্যগুলো ডিজিটাল ফরম্যাটে থাকার কারণে।

আরো পড়ুনঃ- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার

নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবাই আরো সহজ হয়ে উঠেছে। স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা এবং স্মার্ট কার্ড বিতরণ কবে শুরু হবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত জরুরী। যাতে করে আপনি সঠিকভাবে এই কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারেন। এবং এই স্মার্ট কার্ডের সুযোগ-সুবিধা গুলো উপভোগ করতে পারেন। স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে? তা নিচে জানুন

স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্মার্ট এনআইডি কার্ড, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জাতীয়তার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণপত্র হলো আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড। যা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন।  যেমন সরকারি, বেসরকারি, কাজে এই স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়। এবং নতুন ব্যাংক একাউন্ট, খোলা থেকে শুরু করে নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন, করার পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন।

প্রতিটি অফিসিয়াল কাজে প্রয়োজন এই স্মার্ট এনআইডি কার্ড বর্তমানে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এটি। শুধুমাত্র একটি পরিচয়পত্র নয় বরং নাগরিকদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে। ডিজিটাল যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্মার্ট এনআইডি কার্ড। কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কি কি রয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • উন্নত নিরাপত্তা ও সুরক্ষাঃ- এই স্মার্ট এন আই ডি কার্ডে চিপসেট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা আপনার কার্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এই স্মার্ট কার্ডে নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট চোখের রেটিনা এবং ছবি সংরক্ষিত থাকে যা আপনার পরিচয় যাচাইয়ের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। 
  • সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রেঃ- আপনার স্মার্ট এন আই ডি কার্ডের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া আরো সহজ হয়ে উঠেছে। যেমন ব্যাংক একাউন্ট খোলা, মোবাইল সিম নিবন্ধন, বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া, এবং বিভিন্ন সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে এই কার্ডটি প্রয়োজন হয় এই স্মার্ট কার্ডটি আপনাকে সহজেই বিভিন্ন সেবা পেতে সুবিধা প্রদান করে
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্য করুনঃ- বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। আর এই স্মার্ট এনআইডি কার্ড সেই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার নাগরিকদের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
  • নির্বাচন প্রক্রিয়াঃ- স্মার্ট এনআইডি কার্ড নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কার্ডের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটার পরিচয় নিশ্চিত করুন এবং ভোট প্রদানের সময় জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
  • আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিঃ- বাংলাদেশে স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রচলন আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশীদের পরিচয় প্রমাণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  বিশেষ করে প্রবাসীদের জন্য।

স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে? এই স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কেবলমাত্র নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য নয়। বরং এটি একটি ডিজিটাল ও নিরাপদ সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত সেবা পেতে পারি। যা আমার আপনার জীবনকে আরো সহজ ও নিরাপদ করে তুলেছে।

জরুরী স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন হলে করণীয়

কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের এই স্মার্ট কার্ড জরুরীভাবে প্রয়োজন হয়। এই ধরনের অবস্থায় স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যেমন বিদেশ ভ্রমণ চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা বা অন্যান্য জরুরী কাজের জন্য স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। তখন এই ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য। কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যা নিচে দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন আবেদনঃ- জরুরী স্মার্ট কার্ড প্রয়োজন হলে করণীয়? অনলাইনে আবেদন এখন সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ পদ্ধতি। অনলাইনে আবেদন ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে গিয়ে। একটি নতুন স্মার্ট কার্ডের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। এখানে আপনার প্রয়োজন হবে। যেমন এনআইডি কার্ডের নম্বর, আপনার জন্ম তারিখ, এবং ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে। আপনার আবেদনটি নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে যাবে।

নির্বাচন অফিসে সরাসরি যোগাযোগঃ- জরুরি অবস্থায় আপনার নিকটস্থ নির্বাচন অফিসের সরাসরি গিয়ে আপনার স্মার্ট এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তার কথা জানাতে পারেন। এবং অফিসের কর্মকর্তারা আপনার আবেদনের গুরুত্ব বুঝে জরুরী প্রক্রিয়ায় স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত করার ব্যবস্থা নেবে। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য যে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।

জরুরী ভিত্তিতে আবেদন জমাঃ- কিছু ক্ষেত্রে জরুরী ভিত্তিতে আবেদন জমা দিয়ে দুটো স্মার্ট কার্ড পাওয়া সম্ভব। তবে আপনাকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে বিশেষভাবে যোগাযোগ করতে হবে। আবেদনটি জরুরীভাবে করার জন্য চিহ্নিত করতে হবে। এবং দুটো স্মার্ট কার্ড পেতে আপনাকে অতিরিক্ত ফ্রি প্রধান করার কথা বলা হতে পারে।

তথ্য পুনরায় যাচাইঃ- অনেক সময় স্মার্ট কার্ড প্রস্তুতি বিলম্ব হতে পারে। যদি আপনার আবেদন ফরমটিতে কোন সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সব তথ্য সঠিকভাবে দিয়েছেন কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার আবেদনটি সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে কিনা তা অনলাইনের মাধ্যমে বা সরাসরি নির্বাচন অফিসে এসে যাচাই করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ- ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হয় যেসব কারণে

জরুরি অবস্থায় স্মার্ট কার্ড পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। অনলাইনে আবেদন থেকে শুরু করে স্থায়ী নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ পর্যন্ত বিভিন্ন উপায়ে আপনি দ্রুত কার্ড পেতে পারেন। আপনি যদি প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করেন। তাহলে খুব সহজেই স্মার্ট এনআইডি কার্ড টি আপনি পেয়ে যাবেন। তবে শর্ত হলো উপরের নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে আবেদন করুন।

স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে

আপনি যদি সকল বিষয়বস্তু সঠিকভাবে মানার পরেও যদি আপনার কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট কার্ডটি না পেয়ে থাকেন। তাহলে স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করব এই আর্টিকেলে।  আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে স্মার্ট কার্ড কোথায় পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে

এই স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। যা আপনাকে আপনার স্মার্ট কার্ড পেতে সাহায্য করবে। স্মার্ট কার্ড না পাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এবং নির্বাচন অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। এতে করে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড টি পাওয়ার প্রক্রিয়া আরো সহজ হয়ে যাবে। স্মার্ট কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে নিচের পদক্ষেপ গুলো নিতে পারেন।

  • স্ট্যাটাস চেক করুনঃ- NID অনলাইন পোর্টালে গিয়ে আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করুন এবং আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়েছে কিনা বা বিতরণের জন্য প্রস্তুত কিনা তা স্ট্যাটাস থেকে দেখতে পাবেন।
  • স্থায়ী নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুনঃ- আপনার নিকটবর্তী উপজেলা বা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে স্মার্ট কার্ডের অবস্থান সম্পর্কে জানুন তারা আপনাকে জানাবে কার্ডটি কখন এবং কোথায় দেওয়া হবে।
  • হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুনঃ- নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইন নম্বরে (105) কল করে আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন তারা আপনাকে সঠিক সমাধান দিবে।
  • পুনরায় আবেদন করুনঃ- আপনার স্মার্ট কার্ডটি যদি হারিয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে পুনরায় আবেদন করতে হবে এর জন্য অনলাইন পোর্টাল বা স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

উপরে দেওয়া পদক্ষেপ গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে গ্রহণ করেন। তাহলে খুব সহজে আপনি এই সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন। আশা করি স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে? সে সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন এবং আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আপনি নিজে থেকেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো ২০২৪

আপনারা অনেকেই ভোটার তালিকায় নাম দিয়েছেন কিন্তু আপনি আপনার কাঙ্খিত স্মার্ট কার্ডটি এখনো পাননি। অনেকের ০১ থেকে ০২ বছর হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো স্মার্ট কার্ড পাননি। তাই আমি আপনাদের সুবিধার্থে স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো ২০২৪ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি এই আর্টিকেলে।

যেহেতু ২০২৪ সালে বাংলাদেশের নতুন সরকার গঠন হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ড পেতে আপনার দেরি হতে পারে। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি পেতে আপনাকে প্রথমে এনআইডি অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে হবে। এবং আপনার যদি পূর্বের এনআইডি কার্ড থাকে তাহলে আপনার জন্ম, তারিখ, ছবি, এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

এরপর আপনার তথ্য নির্বাচন অফিসে যাচাই করা হবে। এবং আপনার যদি স্মার্ট কার্ডে কোন সংশোধনের প্রয়োজন হয়। তাহলে অনলাইনে বা স্থায়ী নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট, এবং ছবি, নেওয়া হবে এরপর আপনার স্মার্ট এনআইডি কার্ড তৈরি হলে। স্থায়ী নির্বাচন অফিস বা নির্দিষ্ট বিতরণ কেন্দ্র থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড বিতরণ কবে শুরু হবে

স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র এনআইডি কার্ড বিতরণের সময়সীমা নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ও আপনার এলাকার বিতরণের সময়সূচির ওপর। সাধারণত স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন স্থায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। তারিখ, স্থান, এবং সময় উল্লেখ করা থাকে।

আপনি এনআইডি অনলাইন পোর্টাল এ গিয়ে আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। এছাড়া স্থায়ী নির্বাচন অফিস বা কমিশনের হেল্পলাইন নাম্বারে (২০৫) এ কল করে আপনার এলাকার বিতরণ সম্ভবত তথ্য জানতে পারেন। আশা করি স্মার্ট কার্ড বিতরণ কবে শুরু হবে তা বুঝতে পেরেছেন।

স্মার্ট কার্ড কোথায় পাওয়া যাবে

প্রিয় পাঠক' আপনি আপনার কাঙ্খিত এনআইডি স্মার্ট কার্ড কোথায় পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে জানার জন্য হয়তো। আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন। আপনি যদি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনার স্মার্ট কার্ড কোথায় পাওয়া যাবে এবং স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে? তা জানতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড কোথায় পাওয়া যাবে

২০২৪ সালের স্মার্ট কার্ড বিতরণের পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। তাই আপনাকে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আপনি এটি সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আরো জানুনঃ- কিভাবে প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খুলা যায়

অনলাইন আবেদনঃ- আপনি যদি স্মার্ট কার্ডের জন্য এখন আবেদন করে থাকেন তাহলে সর্বপ্রথম অনলাইনে এ গিয়ে আবেদন করতে হবে। এই পোর্টালে আপনার পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) নম্বর, জন্মতারিখ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।

স্থান নির্বাচন অফিসে যোগাযোগঃ- অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে। আপনার কার্ডের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট বিতরণ কেন্দ্র থেকে। স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে। আপনার কার্ড তৈরি হয়ে গেলে নির্বাচন অফিস থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি বা এসএমএস পাবেন এতে জানানো হবে। কোন তারিখ, এবং কোথায় আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে যেতে হবে। সাধারণত স্থায়ী নির্বাচন অফিস বা উপজেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। কার্ড বিতরণের সময় আপনার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, এবং আবেদন নম্বর, সহ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

বিশেষ ক্যাম্প ও বিতরণ কেন্দ্রঃ- অনেক সময় কিছু কিছু এলাকায় সরকার মানুষের জন্য ক্যাম্প স্থাপন করে। এই ক্যাম্পের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে। এই কাজগুলো সাধারণত স্কুল কলেজ বা কমিউনিটি সেন্টারে স্থাপন করা হয়। যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে যেতে হবে। ক্যাম্প বা বিতরণ কেন্দ্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পত্রিকা, বা টেলিভিশনে, মাধ্যমে অথবা সরাসরি মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়।

স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময়সূচীঃ- এই স্মার্ট কার্ড নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদান করা হবে। তবে এই কার্ড সংগ্রহ করার জন্য আপনার কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। যেমন পুরনো জাতীয় পরিচয় পত্র, বা জন্ম নিবন্ধন, সনদ এবং আবেদন নম্বর সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট, এবং ছবি, যাচাইয়ের পর স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে।

এটি নিশ্চিত করার জন্য যে আপনি সঠিক সময় এবং সঠিক স্থানে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনাকে নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি এবং স্থায়ী নির্বাচন অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই স্মার্ট কার্ড টি পেয়ে যাবেন। আশা করি স্মার্ট কার্ড কোথায় পাওয়া যাবে তা বুঝতে পেরেছেন। এবং স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে? তা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি। আপনি উপর থেকে সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট

আপনি কিভাবে খুব সহজেই অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এবং স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে https://www.nidw.gov.bd এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে। লিঙ্কে প্রবেশ করলে আপনি দেখতে পাবেন ছবিতে দেওয়া ইন্টার ফেস। আমি আপনাদেরকে আরো সহজভাবে বোঝানোর জন্য কিছু ছবি শেয়ার করে দিলাম। যাতে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারেন। কিভাবে অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন।

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট

ভালো করে ছবির দিকে লক্ষ্য করুন। স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস লেখা আছে ওয়েবসাইটের বাম পাশের উপরের দিকে। এই লিংকে ক্লিক করুন তাহলে দেখতে পাবেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস।  চেক করার এই ইন্টারফেসটি শো করছে উক্ত ফাঁকা বক্সগুলোতে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, স্মার্ট কার্ড আবেদনের সময় যে ফর্মটি আপনাকে দেয়া হয়েছিল সেই ফর্মে থাকা নাম্বারটি দিন। আপনাকে আরো সহজ ভাবে বোঝানোর স্বার্থে নিচে সেই বক্সটির ছবি দিয়ে দিলাম।

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট

উপরের সব কাজ যদি আমার দেখানো নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে করে থাকেন। তাহলে এবার সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার স্মার্ট কার্ডের বর্তমান অবস্থা। তবে এই বক্সটি পূরণ করার সময় অবশ্যই ভালো করে দেখে পূরণ করবেন। তা না হলে আপনাকে ভুল তথ্য দেখাতে পারে।

আপনি জানেন কি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায় না। তবে এই কার্ডের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে আপনার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট এর আবেদন সহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে এই স্মার্ট আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে আপনি এই পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে কখনোই স্মার্ট কার্ডের স্টাইল আনতে পারবেন না। তার কারণ এটি একটি শক্ত এবং মোটা প্লাস্টিক চারা তৈরি অনেকটা মোবাইল সিমের মত দেখতে। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে মোবাইল সিমের থেকে অনেক বড়। কিন্তু এক দিকে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন।

মোবাইল সিমের মতোই এক পাশে মাইক্রোচিপ লাগানো রয়েছে। আমি আপনাদের সুবিধার্থে উপরের দিকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকে আপনারা খুব সহজেই স্মার্ট কার্ডের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।

স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস

আপনি কিভাবে খুব সহজেই আপনার স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস চেক করবেন। তা হয়তো জানেন না তাই আমি এনআইডি কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করার পুরো তথ্য নিয়ে আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলটিতে। আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনি নিজে নিজেই আপনার স্মার্ট এন আই ডি কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

তাহলে চলুন স্মার্ট এন আই ডি কার্ডের স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করতে হয় তা জানা যাক। অনলাইনের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করার জন্য লিংক দেওয়া ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন https://www.nidw.gov.bd এবার এই লিঙ্কে ক্লিক করে প্রবেশ করুন এবং আপনার সামনে একটি ফর্ম ওপেন হবে।

সেখানে আপনার এন আই ডি কার্ডের নম্বর, বা ফর্ম নম্বর, এবং জন্মতারিখ, লিখুন নিচে দেওয়া ক্যাপচার পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন তাহলে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। আপনাকে আরো সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য স্মার্ট কার্ড চেক করার সহজ কিছু প্রক্রিয়া নিচের ধাপে ধাপে দেওয়া হলো।

  • ক্লিক করুন https://www.nidw.gov.bd এই লিংকে।
  • আপনার এনআইডি নম্বর লিখুন অথবা ফোন নাম্বার লিখুন।
  • এবার আপনার জন্ম তারিখ লিখুন।
  • আপনার ফোনে থাকা ক্যাপচা কোডটি দেখে দেখে নিজের ফাঁকা ঘরে লিখুন।
  • এবার আপনি উপরের চারটা অপশন যদি সঠিকভাবে পূরণ করেন তাহলে নিচে থাকা সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

স্মার্ট এনআইডি কার্ড বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট এবং স্মার্ট কার্ড না পেলে কি করতে হবে? আশা করি এই পোষ্টের দ্বারা জানতে পেরেছেন। এখন থেকে আপনারা নিজেরাই ঘরে বসে অনলাইনে স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে আর্টিকেলটা আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এবং এরকম নতুন নতুন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। এতক্ষণ আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইসরাত টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url