ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হয় যেসব কারণে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ খোলার নিয়মফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয়? তা আমরা অনেকেই জানিনা যে কারণে আইডিটি রেস্ট্রিক্টেড হোক না কেনো। আইডি রেস্ট্রিক্টেড গুলো তুলে নেওয়ার উপায় আপনাকে জানা থাকতে হবে।

ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কিভাবে বুঝবো

সাধারণত ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘন, স্প্যাম বা ক্ষতিকারক কার্যকলাপ, ভুয়া প্রোফাইল তৈরি, বা সুরক্ষার জন্য অস্বাভাবিক লগইন কার্যকলাপের জন্য রেস্ট্রিক্টেড হয়ে থাকে। এর কারণ এবং ফেসবুক আইডির রেস্ট্রিক্টেড তুলে নেওয়ার উপায় জানুন। ভূমিকাফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয় এর কারণ? এবং এখান থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানতে হবে।
সূচিপত্রঃ ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুব কম আছে। সাধারণত যারা প্রথম ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। এই রেস্ট্রিকশন থেকে আমরা কিভাবে বাঁচবো এবং মেনে চলবো তা এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন।

ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন করা হয়

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সাধারণত ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘন স্প্যাম বা ক্ষতিকারক কার্যকলাপ ভুয়া প্রোফাইল তৈরি অস্বাভাবিক লগইন কার্যকলাপ এবং পলিসি আপডেট বা নোটিফিকেশন অবহেলার কারণে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।প্রথমত ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘন করা হলে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে।

ফেসবুকের একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের সম্মানজনক ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করে। এই নীতিমালা ভঙ্গ করলে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন হুমকি দেওয়া ঘৃণা বা বৈষম্যমূলক বক্তব্য প্রচার করা সহিংসতা উস্কে দেওয়া বা অশ্লীল কনটেন্ট শেয়ার করা ইত্যাদি কার্যকলাপ কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।

দ্বিতীয়ত স্প্যাম বা ক্ষতিকারক কার্যকলাপের কারণে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। যদি কোনো ব্যবহারকারী অসংখ্য বন্ধু অনুরোধ পাঠায় একই বার্তা বহুবার পাঠায় বা স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে কার্যকলাপ পরিচালনা করে তাহলে তা স্প্যাম হিসেবে গণ্য হয়। ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম এই ধরনের কার্যকলাপ শনাক্ত করতে সক্ষম এবং ফলস্বরূপ অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে।

তৃতীয়ত ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করলে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। ফেসবুকে বাস্তব জীবনের পরিচয় ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ ভুয়া নাম বা পরিচয় ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তবে ফেসবুক সেই অ্যাকাউন্টটি সীমাবদ্ধ করতে পারে। এতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি সঠিক ও বিশ্বস্ত থাকে।

চতুর্থত অস্বাভাবিক লগইন কার্যকলাপের কারণে অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার জন্য এটি ব্যবহারকারীর অবস্থান ডিভাইস এবং লগইন প্যাটার্ন নজর রাখে। যদি কোনো অস্বাভাবিক লগইন কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয় যেমন নতুন বা অপরিচিত ডিভাইস থেকে লগইন চেষ্টা তবে ফেসবুক সুরক্ষার জন্য অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড করতে পারে।

পঞ্চমত ফেসবুক মাঝে মাঝে তাদের পলিসি আপডেট করে এবং ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন পাঠায়। যদি কেউ এই নোটিফিকেশনগুলিকে উপেক্ষা করে বা নির্দেশনা না মানে তবে তা রেস্ট্রিকশনের কারণ হতে পারে। ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক কার্যকলাপ পর্যালোচনা করে। কিছু ক্ষেত্রে ভুল সনাক্তকরণও হতে পারে। 

এছাড়াও ব্যবহারকারীর রিপোর্টের ভিত্তিতে মানব রিভিউ হয় যা আরও নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।
এই কারণগুলো ছাড়াও অন্যান্য কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতেও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপরের কারণগুলোর মধ্যে কোনো একটির কারণে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হয়ে থাকে।

ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড অর্থ কি

ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার অর্থ হলো ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে, যার ফলে ব্যবহারকারী পূর্বের মতো স্বাভাবিকভাবে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন না। এটি সাধারণত ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘনের ফলে ঘটে থাকে এবং এর উদ্দেশ্য হলো ফেসবুক প্ল্যাটফর্মকে সুরক্ষিত ও ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ রাখা।

যখন কোনো ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হয়, তখন ব্যবহারকারী কিছু নির্দিষ্ট কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এটি বিভিন্নভাবে হতে পারে, যেমন: পোস্ট করা মন্তব্য করা মেসেজ পাঠানো নতুন বন্ধু অনুরোধ পাঠানো ইত্যাদি। কখনও কখনও রেস্ট্রিকশন অস্থায়ী হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পর এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠে যায়, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ফেসবুকের পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এটি স্থায়ী হতে পারে।

ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘন করা যেমন হুমকি দেওয়া ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করা সহিংসতা উস্কে দেওয়া বা অশ্লীল কনটেন্ট শেয়ার করা রেস্ট্রিকশনের প্রধান কারণ হতে পারে।
এছাড়াও স্প্যামিং কার্যকলাপ যেমন বারবার একই বার্তা পাঠানো বা অসংখ্য বন্ধু অনুরোধ পাঠানো রেস্ট্রিকশনের কারণ হতে পারে।রেস্ট্রিকশনের আরেকটি সাধারণ কারণ হলো 

ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করা। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের থেকে বাস্তব জীবনের পরিচয় ব্যবহার করার দাবি করে এবং যদি কেউ ভুয়া নাম বা তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তবে সেটি রেস্ট্রিকশনের সম্মুখীন হতে পারে। এই ধরনের রেস্ট্রিকশন প্ল্যাটফর্মের সঠিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।


এছাড়া অস্বাভাবিক লগইন কার্যকলাপও রেস্ট্রিকশনের কারণ হতে পারে। যদি ফেসবুকের স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম কোনো অস্বাভাবিক লগইন কার্যকলাপ শনাক্ত করে যেমন অপরিচিত ডিভাইস থেকে লগইন প্রচেষ্টা তবে সুরক্ষার জন্য অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। এটি ফেসবুকের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ফেসবুক মাঝে মাঝে তাদের পলিসি আপডেট করে এবং ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশন পাঠায়। যদি কেউ এই নোটিফিকেশনগুলিকে উপেক্ষা করে বা নির্দেশনা না মানে তবে তা রেস্ট্রিকশনের কারণ হতে পারে। সংক্ষেপে ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হওয়ার অর্থ হলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ সীমিত করেছে। এটি ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা সঠিকতা এবং ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কিভাবে বুঝবো

ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে আপনি বেশ কিছু লক্ষণ দ্বারা বুঝতে পারবেন। প্রথমত আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে গেলে একটি পপ-আপ বার্তা দেখতে পাবেন যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আপনার অ্যাকাউন্টে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এই বার্তাটি সাধারণত ফেসবুকের নিয়ম ভঙ্গ করার কারণে আসে এবং এতে আপনার অ্যাকাউন্টের কার্যকলাপ সীমিত করার কারণ এবং সময়সীমা সম্পর্কে তথ্য থাকবে।

আপনি যখন কোনো পোস্ট বা মন্তব্য করার চেষ্টা করবেন তখন এটি করতে বাধা পেতে পারেন। ফেসবুক সাধারণত আপনাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে আপনি কেন এই কার্যকলাপটি করতে পারছেন না। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস লঙ্ঘন করেন তবে আপনাকে একটি বার্তা দেখানো হবে যেখানে বলা হবে যে আপনার পোস্টিং বা মন্তব্য করার সুযোগ সীমিত করা হয়েছে।
আপনার মেসেজিং কার্যকলাপও সীমিত হতে পারে।

যদি আপনি অনেকবার একই বার্তা পাঠান বা অন্য কোনো স্প্যামিং কার্যকলাপ করেন তবে ফেসবুক আপনার মেসেজ পাঠানোর ক্ষমতা সীমিত করতে পারে। আপনি যখন মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করবেন। তখন একটি বার্তা পেয়ে যাবেন যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আপনি এই কার্যকলাপটি করতে পারবেন না।

বন্ধু অনুরোধ পাঠানো বা গ্রহণ করাও সীমিত হতে পারে। যদি ফেসবুক আপনাকে স্প্যামিং হিসাবে গণ্য করে তবে আপনার নতুন বন্ধু অনুরোধ পাঠানোর ক্ষমতা সাময়িকভাবে বন্ধ হতে পারে। এই সীমাবদ্ধতা আপনাকে একটি নোটিফিকেশন বা পপ-আপ বার্তার মাধ্যমে জানানো হবে।
অন্যদিকে আপনার অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশন সম্পর্কে ফেসবুকের সাপোর্ট সেন্টার থেকেও জানানো হতে পারে। আপনি ফেসবুকের সাহায্য কেন্দ্র বা সাপোর্ট পেজে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। এখানে আপনার অ্যাকাউন্টের সীমাবদ্ধতার কারণ এবং সমাধান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

কিছু ক্ষেত্রে আপনি যদি অস্বাভাবিক লগইন কার্যকলাপ করেন, তবে ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্টে নিরাপত্তা চেক করতে পারে। আপনি লগইন করার চেষ্টা করলে আপনাকে কিছু নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে বা পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। সংক্ষেপে ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে আপনি পপ-আপ বার্তা কার্যকলাপ সীমিতকরণ বার্তা মেসেজিং বা বন্ধু অনুরোধে বাধা এবং ফেসবুক সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।

এই লক্ষণগুলি স্পষ্টভাবে আপনাকে জানিয়ে দেবে যে আপনার অ্যাকাউন্টে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে এবং এর ফলে আপনার কার্যকলাপ সীমিত হয়েছে।

ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে কি করতে হবে

ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড হলে প্রথমে ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত বার্তাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যাতে রেস্ট্রিকশনের কারণ এবং সময়কাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। এরপর ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস এবং নীতিমালা পর্যালোচনা করুন যাতে বুঝতে পারেন কোন নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে।
আপনার অ্যাকাউন্ট রেস্ট্রিকশনের কারণ যদি মনে হয় ভুল, তাহলে ফেসবুকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

ফেসবুকের সাহায্য কেন্দ্র বা সাপোর্ট পেজে গিয়ে আপিল করার জন্য নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করুন। এখানে আপনাকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনার মনে হয় যে রেস্ট্রিকশনটি ভুল হয়েছে। আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ফেসবুক যদি আপনার কাছ থেকে কোনো নথি বা তথ্য চায় তবে সেগুলি যথাযথভাবে প্রদান করুন। পরিচয়পত্র বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিলে ফেসবুক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং সঠিক মনে হলে রেস্ট্রিকশন তুলে নেওয়া হবে।

ফেসবুকের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে আপনি পুনরায় আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। রেস্ট্রিকশন চলাকালীন সময়ে ফেসবুকের নির্দেশনা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ যাতে পুনরায় একই সমস্যার সম্মুখীন না হন।

হারানো ফেসবুক আইডি ফিরে পাওয়ার উপায়

হারানো ফেসবুক আইডি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রথমে ফেসবুকের লগইন পেজে যান এবং "Forgot Password?" বা "পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?" লিঙ্কে ক্লিক করুন। এরপর, আপনার ইমেইল ঠিকানা ফোন নম্বর বা ফেসবুক ইউজারনেম প্রবেশ করান যা আপনার অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত রয়েছে। এই তথ্য দেওয়ার পর ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্টটি শনাক্ত করবে এবং আপনাকে কয়েকটি বিকল্প দেখাবে।

আপনি যদি আপনার ইমেইল বা ফোন নম্বরটি অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত করে থাকেন তাহলে ফেসবুক আপনাকে একটি কোড পাঠাবে। এই কোডটি আপনার ইমেইল ইনবক্স বা ফোনের মেসেজ হিসেবে আসবে। কোডটি পাওয়ার পর সেটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করান এবং একটি নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এই পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন।

যদি আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে না পারেন তাহলে "Try another way" বা "অন্য উপায় চেষ্টা করুন" লিঙ্কে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে ফেসবুকের পরিচয় যাচাই করার জন্য কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হতে পারে। ফেসবুক আপনাকে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট তথ্য বা পরিচয়পত্রের ছবি আপলোড করতে বলতে পারে। এই তথ্য প্রদান করলে ফেসবুক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং আপনার পরিচয় নিশ্চিত হলে পুনরুদ্ধার লিঙ্ক পাঠাবে।

ফেসবুকের সাহায্য কেন্দ্র বা সাপোর্ট পেজেও যেতে পারেন এবং "Recover Your Account" বা "আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করুন" বিকল্পটি ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে বিস্তারিত নির্দেশনা পাওয়া যাবে যা অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার হারানো আইডি ফিরে পেতে পারেন। এই প্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে।

তবে ফেসবুকের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করলে আপনি সহজেই আপনার হারানো অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। ধৈর্য ধরে কাজ করলে এবং সঠিক তথ্য প্রদান করলে ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করে দেবে।

মেসেঞ্জারে রেস্ট্রিকটেড করলে কি হয়

মেসেঞ্জারে কাউকে রেস্ট্রিকটেড করলে আপনি এবং সেই ব্যক্তি বেশ কয়েকটি পরিবর্তন অনুভব করবেন। রেস্ট্রিকটেড হওয়ার পর ঐ ব্যক্তি আপনার প্রোফাইল দেখার সুযোগ পাবে না এবং আপনার মেসেজ ইনবক্সে সরাসরি মেসেজ পাঠাতে পারবে না। তাদের মেসেজগুলো "Message Request" বিভাগে জমা হবে এবং আপনি চাইলে সেগুলো পড়তে পারবেন।

তবে আপনি চাইলে তাদের মেসেজগুলো উপেক্ষা করতে পারবেন এবং তাদের জানানো হবে না যে আপনি তাদের মেসেজ পড়েছেন কিনা। রেস্ট্রিকটেড হওয়ার পর সেই ব্যক্তি আপনার সক্রিয় অবস্থা বা "Last Active" সময় দেখতে পাবে না। একইভাবে, আপনি তাদের সক্রিয় অবস্থা বা "Last Active" সময় দেখতে পাবেন না।

এছাড়া যদি আপনি একটি গ্রুপ চ্যাটে একসাথে থাকেন তবে মেসেঞ্জার রেস্ট্রিকটেড ব্যক্তি আপনার মেসেজ দেখতে পাবে না এবং তাদের মেসেজগুলোও আপনার কাছে দেখাবে না।
ফেসবুকে রেস্ট্রিকটেড ব্যক্তির পোস্ট বা মন্তব্য আপনার ফিডে দেখা যাবে না এবং তারা আপনার পোস্টেও মন্তব্য করতে পারবে না। তবে আপনি চাইলে তাদের পোস্ট বা মন্তব্য দেখতে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন।

রেস্ট্রিকশন মূলত ব্যক্তিগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি এমন একটি ফিচার যা ব্যবহারকারীকে অস্বস্তিকর বা অবাঞ্ছিত যোগাযোগ থেকে রক্ষা করে। রেস্ট্রিকটেড করলে, ঐ ব্যক্তি জানবে না যে আপনি তাদের রেস্ট্রিকট করেছেন এবং এই কারণে সম্পর্কের মধ্যে কোনো ঝামেলা বা বিবাদ সৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড কেন হয়! এর কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এবং ফেসবুক আইডি রেস্ট্রিক্টেড হোলে কিভাবে এখান থেকে ফেসবুক আইডি উদ্ধার করবেন এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং ফেসবুক আইডি নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা হয়েছে।

আপনি যদি ফেসবুকে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে ফেসবুক ব্যবহার শুরু করুন। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেসবুক একাউন্ট রেস্ট্রিক্টেড নিয়ে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতেও বুঝতে পেরেছেন। পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইসরাত টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url